ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে অনিয়ম ও অর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনে ১২ নেতা পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কমিটি ঘোষণার দুদিনের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার তারা পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন তারেক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ জুবায়ের,মো. শফিকুর রহমান ও আতিকুর রহমান সোহাগ। সদস্য আনু মিয়া, আল কাউসার,রিয়াজ হোসেন, আল মাহমুদ মাসুম, আজহারুল ইসলাম, সুন্নত আলী, আহমেদ রেজা সাকিব ও মামুন পারভেজ পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে পদত্যাগকারী হোসেন তারেক জানান, তার নামে এ পর্যন্ত ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে। এই রকম অনেক নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে তিনি আরো জানান,পৌর কমিটির আহ্বায়ক শাহীন আলম তারা পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী এবং সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আনিছের ভাতিজা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অপরদিকে সদস্য সচিক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি রামগোপালপুর ইউনিয়নে। বিগত আন্দোলনের সময় তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এমনকি বিএনপির সাথেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের কাছে পদ বিক্রি করা হয়েছে।
অন্য এক অভিযোগে জানা যায়, নবগঠিত গৌরীপুর উপজেল স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান আল-আমীন গত দশ বছর ধরে গাজীপুর জেলার ভোগড়া বাজারের সেইলর মুন নামক একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করছেন। অপরদিকে সদস্য সচিক আব্দুল কাদির ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় বর্তমান সরকারের একজন উপ-সচিবের বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। একইভাবে কমিটির প্রথম সদস্য ইব্রাহিম খলির মতি ইসলামি ব্যাংকের ডৌহাখলা শাখায় কর্মরত। অথচ বিগত আন্দোলন সংগ্রামে হামলা-মামলায় নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে এ ধরনের কর্মজীবীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আকবর আনিছ বলেন, টাকা নিয়ে কোনো পদ বিক্রি হয়নি। যোগ্যদেরই দেওয়া হয়েছে। যারা পদ বঞ্চিত হয়েছেন তারা রাগে ক্ষোভে এ ধরনের মিথ্যাচার করছেন। আগামী সম্মেলনের পর এটা ঠিক হয়ে যাবে।
জানা যায়, একই অভিযোগ এনে গত বুধবার হালুয়াঘাটের ১১ জন নেতা পদত্যাগ করেছিলেন।