প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার অর্থ পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।
পর পর দুটো মেজর (হার্নিয়া) অপরেশন করে এখন অনেকটা সুস্থ্য আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খন্দকার। কিন্তু আর্থিক অনটনে থাকা এই স্বাধীনতার সৈনিক কয়েক লাখ টাকা ঋন গ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। স্বাধীনতার আগে ও পরে ছাত্রলীগের নের্তৃত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ তার দুঃখ দুর্দশার কথা আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রধান মন্ত্রীর আস্থাভাজন জাহাঙ্গীর কবির নানক কে অবহিত করেন। সহযোগীতার আশ্বাস দেন রশিদকে। অনেকের মত শুধু আশ্বাস দিয়েই থেমে থাকেন নি নানক। যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন করে তা অনুমোদন ও দ্রুত ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা নেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্বাক্ষরিত সহায়তার ৫ লাখ টাকার চেক পৌছানো হয় জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে। গতকাল রাতে বরিশালে পৌছে নিজ বাস ভবনে বসে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের হাতে চেক হস্তান্তর করেন তিনি।
সহায়তা চেক পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন আব্দুর রশিদ। বলেন আমার কোন ছেলে নেই। বুঝতেই পারছেন এই বয়সে কতটা অসহায় থাকে একজন বৃদ্ধ। কিন্তু আজ সহায়তার চেক পেয়ে মনে হচ্ছে আমি অসহায় না। যত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেচে থাকবেন এবং নানকের মত তার বিশ্বস্ত সৈনিকেরা বেঁচে থাকবে ততদিন আমার মত মানুষেরা কখনোই অসহায় হব না। অর্থের অভাবে চিকিৎসার অভাবে মারা যাব না।
আব্দুর রশিদ বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাকে ধরিয়ে দিতে পাক বাহিনী ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করে। কিন্তু আমাকে না পেয়ে আমার বাবা ওয়াজেদ আলীকে গুলি করে হত্যা করে। তার পরও বাড়ি ফিরিনি। দেশ স্বাধীন করে তবেই বীর বেশে বাড়ি ফিরেছি।
সিবিএনটুডে /৩জুন/জই/প্রধানমন্ত্রী